চর্মরোগের,কারণ,লক্ষণ ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসা | Common Skin Disorders
খোস-পাঁচড়া (Scabies)
কারণ:- অপরিষ্কার থাকার জন্য বাচ্চাদের এক ধরনের বীজ এই রোগ ঘটায়।
লক্ষণ :- মনিবন্ধ, অঙ্গুলী প্রভৃতি স্থানে কোমল চর্মের নিচে বীজাণুর আক্রমণ ঘটে ছোট ছোট উদ্ভেদ সৃষ্টি হয় এবং তা প্রচন্ড চুলকায়। পরে তা গলে গিয়ে পুঁজ হতে শুরু করে। ক্রমশ সারা অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যথা এবং টনটনানি থাকে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- রোগীর ব্যবহৃত পোশাক এবং বিছানাপত্র দৈনিক ভালো করে কাচা উচিত না হলে পুনরায় রোগ আক্রমণ ঘটে। কাঁচা দুধে নিমপাতা সিদ্ধ করিয়া ধৌত করিলে শীঘ্র উপকার হয়।
উকুন (Pediculosis)
কারণ :-পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, উকুন যুক্ত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে উকুনের আক্রমণ ঘটে।
লক্ষণ : মাথায় উকুন থাকলে প্রচন্ড মাথা চুলকায়। চুল কটা হয়ে যায়। মাথা আঁচড়ালে ডিম বা উকুন বাহির হয়, অন্যান্য জায়গায় উকুন থাকলে সেস্থল চুলকায় এবং ঘা সৃষ্টি করে দিতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :-পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখতে হবে রোগীে পৃথকভাবে রাখতে হবে। ভালোভাবে গোসল করা উচিত
দাদ (Ringworm)
কারণ :- টিনিয়া করপোরিস, টিনিয়া পেডিস, টিনিয়া ক্যাপিটল এবং চিনি কুপ্রিয় প্রকৃতির আক্রমণে চর্মে বা নখে দাগ হয়।
লক্ষণ :- প্রথমে আক্রান্ত স্থানে বৃত্তাকারভাবে ঘামাচির মত উড়েন হয় এবং তা চুলকাতে থাকে এবং গোলাকার ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। চুলকানোর পর রস নির্গত হয় এবং পাতলা আঁশযুক্ত মামড়ি পড়ে। দাদ মাথায় বা দাড়িতে এবং নখেও হয় নদের আক্রান্ত হতে পারে। দাদে নখ ভাঁজ হয়ে যায় এবং কোনে পুঁজ জমতে পারে চুলকায়। কুইকির স্থানও
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- সাবান ও ক্ষার জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা উচিত নয়। নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে ধোয়া ভালো তাছাড়া পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা ধোয়া ভালো। মাল্টি ভিটামিন এবং মিনারেলস্ জাতীয় ঔষধ বা খাবার খাওয়া ভালো। রোগ সারার পরই পোশাক পরিচ্ছেদ ভালোভাবে কাচা উচিত।
ছুলি (Tinea Versicolor)
কারণ :- এটি একটি ফাঙ্গাস ঘটিত রোগ, চর্মে ময়লা জমে থেকে জীবাণুর আক্রমণ ঘটে, তাছাড়া রোগগ্রস্থ ব্যক্তির পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার বা এক বিছানায় শয়ন থেকেও এই রোগ হয়।
লক্ষণ :- চর্মের উপর সাধারণত মুখমণ্ডল, গলা, বুক পেট ও পিঠে বাহুতে এই রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত অংশের চামড়ার রং সাদাটে হয়ে যায় খুব সামান্য চুলকানী থাকে। ঘাম লাগলে প্রচন্ড জ্বালা করে ।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- সাবান ব্যবহার নিষিদ্ধ, তেল মাখা বন্ধ রাখতে হচ্ছে পোশাক পরিচ্ছেদ ঘনঘন পরিষ্কার করতে হবে।
হাজা (Candidiasis)
কারণ :- অতিরিক্ত পানি ঘাঁটা বা ব্লাডসুগারে ভোগা প্রভৃতি ব্যক্তির হাত, পা বা বগল এবং কুঁচকির স্থানে ফাঙ্গাস ইনফেকশন ঘটে এই রোগ সৃষ্টি করে
লক্ষণ :- আঙ্গুলের খাঁজ বা পায়ের পাতা, বগল বা কুচকির স্থান প্রভৃতি অংশ হেজে যায়। পরে তা ঘায়ে পরিণত হয়। বেশি হলে যন্ত্রণা বা চুলকানী দেখা যায়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খেতে হবে। পানি ঘাঁটা কমাতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তার চিকিৎসা করা
ফোঁড়া (Boils)
কারণ :- বীজাণুর আক্রমণে হত শ্বেত রক্তকণিকারা চামড়ার নিচে জমা হয় এবং তা ফোঁড়ার আকারে বাহিরে আসে। তাছাড়া আঘাত লাগা বা ভিটামিনের স্বল্পতার দরুনও ফোঁড়া হয়।
লক্ষণ :- চর্মের নিচে শক্ত ভাব হয় এবং তা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং ফুলে ওঠে, লালাভ হয়। তা ধীরে ধীরে পেকে ওঠে এবং যন্ত্রণা হয়। মুখ থাকলে তা সাদা হয়ে। যায় এবং ফেটে ও যায় মুখ না থাকলে তা কাটার প্রয়োজন হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে পেঁপের আঠা এবং কাঁচা হলুদ গুঁড়া একসাথে লাগালে উপকার হয়।
দুষ্ট ব্রণ (Carbuncles)
কারণ :- ডায়াবেটিস থাকলে তাদের ফোঁড়া দুই ব্রণের আকার ধারণ করে তাছাড়া বারংবার ফোঁড়া বসে গিয়ে থাকলে এইরূপ হয়।
লক্ষণ :-এতে ফোঁড়া একসাথে অনেকগুলি মুখ ধারণ করে এবং প্রত্যেক মুখ থেকে ভিতরে নালীকাকার সংযোগ থাকে। প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। পুঁজ সঞ্চয় হয়। খা সহজে শুকোতে চায় না।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- ঘৃত খাওয়া খুব ভালো এতে ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। টক জাতীয় খাবার এবং মিষ্টি দ্রব্য নিষিদ্ধ।
বয়োব্রণ (Acne Vulgaris)
কারণ :-যুবক যুবতীদের হর্মোনের প্রস্তাব, লিভার বা পাকস্থলীর রোগে ভোগা, ক্ষতিকারক কসমেটিক্স ব্যবহার প্রভৃতি থেকে সৃষ্টি হয়।
লক্ষণ :-মুখমণ্ডলে ফুসকুড়ি মত হয় এবং ভিতরে ভাত জমে। অনেক সময় পাকে এবং ইনফেকশনও হতে পারে। মুখমণ্ডলকে বিশ্রীকরে এবং দাগ ও গর্ভ হয়ে যায়। প্রথম অবস্থায় ব্যথা হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। মুখ সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে। সাদা সরিষা এবং তিল, দুগ্ধসহ বাটিয়া লাগালে উপকার হয় ।
আঁচিল (Warts)
কারণ :-লিভারের রোগ, অধিক ভোজন, চর্মরোগ বসে যাও বলে সন্দেহ করা হয়। তবে সঠিক কারণ গবেষণা করায় কিছু জন
লক্ষণ :-দেহের যে কোন স্থানে ছোট বা বড় আকৃতির আঁচিল হতে পারে। এতে কোন রকম কষ্ট থাকে না। পাকে না পুঁজ হয় না।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :-আঁচিল প্রয়োজনবোধে অপারেশন করতে হয়। ইলেকটো ক্যাটারাইজেসন বা কেমিক্যাল ক্যাটারাইজেসন করা যায়।
কুষ্ঠরোগ (Leprosy)
কারণ :- লেপ্রা ব্যাসিলাস নামক বীজাণুর আক্রমণে এই রোগ হয়। ইহা একটি ছোঁয়াতে রোগ। কুষ্ট রোগীর সংস্পর্শে থাকা, বংশগত কারণে রক্ত বিনিময়ের মাধ্যমে এই রোগ সৃষ্টি হয়।
লক্ষণ :- জ্বর, দুর্বলতা, চামড়ার উপরে চাকা চাকা লাল দাগ, মাংসপিন্ড ফুলে ওঠা, ঘা হয়, নার্ভ আক্রান্ত হয়, আক্রান্ত স্থানে অসাড়তা দেখা যায়, রক্তমিশ্রিত পুঁজ নিঃসরণ এবং পরে হাতে পায়ের আঙুল খসে পড়তে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- রোগীকে পৃথকভাবে রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য থেকে হবে। ঘরে বীজাণুনাশক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
উদ্ভেদ চর্মরোগ (Lichen Planus)
কারণ :- অ্যাড্রেনাল কর্টেক্সের ক্রিয়ার গোলযোগ থেকে এই রোগ হয় বলে ধারণা করা হয়। এটি ফাঙ্গাস জাতীয় ইনফেকশনও বলা হয়।
লক্ষণ :- এগুলি দেহের এক এক স্থানে গুচ্ছাকারে সৃষ্টি হয় এবং এর উদ্ভেদ খুব ছোট । খুব সামান্য পুঁজ থাকে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- সাবান বা ক্ষারজাতীয় পদার্থ ব্যবহার নিষিদ্ধ, নিম পাতা সিদ্ধ পানিতে ধৌতকরণ উপকারী।
প্রুরিটাস (Pruritus)
কারণ :- ডায়াবেটিস রোগ থাকা, কৃমি, লিভারের গন্ডগোল প্রভৃতি থেকে এই রোগের সৃষ্টি হয়।
লক্ষণ :- পায়ু, যোনিদ্বার, পাছা প্রভৃতি অংশে ছোট ছোট ফুসকুড়ি হয় এবং প্রচন্ড চুলকায় এবং পরে যাও হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- বেশি চাপযুক্ত আন্ডারওয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ঐ স পরিষ্কার রাখতে হবে।
আমবাত (Urticaria)
কারণ :-এটি অ্যালার্জিঘটিত রোগ, কারও খাদ্য থেকে কারও বা এলোমেলো ঔষধ সেবন প্রভৃতি থেকে হয়। আবার অজানা কারণেও ঘটে থাকে।
লক্ষণ :- হঠাৎ গা-হাত-পা চুলকাতে থাকে এবং সেই স্থান দ্রুত চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে। আক্রান্ত স্থান লালাভ হয়। কখনো আপনা হতেই মিলিয়ে যায় কখনো বা খুব চুলকায় এবং তা মিলিয়ে যায় না।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- কোন খাবার থেকে হইলে বাবারটি খাওয়া বন্ধ হবে। ঔষধের ক্ষেত্রেও একই কথা। সালফার জাতীয় মলম ব্যবহার করা
পামা (Eczema)
কারণ :- এটি একটি অ্যালার্জিঘটিত রোগ। অনেক সময় এর সাথে বীজাপুৰ ইনফেকসন ঘটায় তা বেড়ে যায়।
লক্ষণ :- চর্মে চুলকানী বিশিষ্ট উদ্ভেদ সৃষ্টি হয়, কষ বের হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চামড়ার রং কালো হয়ে যায়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- আক্রান্ত স্থানে তেল-সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন না হলে পুনরাক্রমণ ঘটতে পারে। আমিষ জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। ঘরোয়া দাওয়াই প্রয়োগ করা উচিত নয় তাতে ঘায়ের সৃষ্টি হতে পারে।
খোলস ওঠা (Psoriasis)
কারণ :- সঠিক কারণ অজানা।
লক্ষণ :- দেহে ছোট ছোট উদ্ভেদ হয় এবং তা থেকে খোলস ছাড়তে থাকে বিশ্রী। দেখায়, গা হাত খসখসে হয় কখনো আবার ঘাও হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- নিমপাতার পানি দ্বারা ধোয়া উচিত। কাপড় চোপড় পরিষ্কার রাখা উচিত । পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
চুল ওঠা (Alopecia areata)
কারণ :- পৌষ্টিকতন্ত্রের গোলযোগ, দুশ্চিন্তা, খারাপ তেল ব্যবহার, বংশগত, ভিটামিনের অভাব, হর্মোনের অভাব প্রভৃতি কারণে চুল উঠে যায়।
লক্ষণ :- মাথার চুল দ্রুত উঠে যায় এবং টাক পড়ে। মাঝে মাঝে খুসকি বা যা হতে পারে। চুলের রং বদলে যায়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- নারকেল তেল + কেশুড়ের রস + দুর্বার রস + একত্রে গরম করে ছেঁকে তুলে দিলে উপকার হয়। পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাদ্য খেতে হবে। মাথায় নানান কোম্পানির তৈরি তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়
শ্বেতী (Leucoderma)
কারণ :- বংশগত কারণ, লিভারের গণ্ডগোল প্রভৃতি থেকে এই রোগ হয় বলে সন্দেহ করা হয়। তবে সঠিক কারণ জানা যায়নি। আবার অনেকের মতে অ্যানিমিয়া বা ইনটেসটিন্যাল প্যারা সাইট এই রোগের কারণ।
লক্ষণ :- চর্মের নিচে যে মেলানিন জাতীয় পিগমেন্ট লেয়ার থাকে তা নষ্ট হয়ে গিয়ে চামড়া সাদা হয়ে যায়। তাপ সহ্য হয় না।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- হালকা পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে, রৌদ্রে বেশি ঘোরা উচিত
ঘাম ও ঘামাচি (Sweating & Miliaria rubra)
কারণ :- রৌদ্র বা কলকারখানার উত্তাপ, রক্তচাপের তারতম্য, প্রভৃতি কারণে এগুলি হয়।
লক্ষণ :- গাত্র চর্মের উপর ছোট ছোট ঘামাচি কখনো পৃথকভাবে আবার কখনো গুচ্ছাকারে দেখা যায়, চুলকায়, কুট কুট করে। পরিশ্রম না করলেও অনেকের হাত পা সর্বাঙ্গ দিয়ে ঘাম বার হতে থাকে এমনকি শীতকালেও।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- ঘামাচি গেলে ফেলা উচিত নয় তাতে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘাম অল্প হইলে তা বন্ধ করা উচিত নয় কারণ ঘামের মাধ্যমে দেহের রেচন পদার্থ বের হয়ে যায়। তবে নিয়মিত গোসল করলে এগুলি আপনা থেকেই কমে যায়।
কড়া (Corn)
কারণ :- জুতা পায়ে দিয়ে, কাঁটা ফুটে প্রভৃতি কারণে পায়ের তলায় বা অন্যান্য স্থানের চামড়া শক্ত হয়ে কড়ার সৃষ্টি করে।
লক্ষণ :- চামড়া অনেক নিচে পর্যন্ত শক্ত হয় এবং ব্যথা হয়। কেটে দিলে আবার ফুলে ওঠে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- আক্রান্ত অংশ কাটা উচিত নয়। ঐ অংশে Salicylic Acid লাগালে কিছুটা উপকার দর্শে।
আঙ্গুলহাড়া (Whitlow)
কারণ :- নখ খুব ছোট করিয়া কাটা আঘাত লাগা বা পুড়িয়া যাওয়া, বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আঙ্গুলের মাথায় পুঁজ হয়ে ফুলে উঠে এই রোগের সৃষ্টি করে।
লক্ষণ :- নখের কোন বা আঙুলের মাথায় প্রদাহ তৎপরে তা ফুলে ওঠা এবং যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাওয়া এই রোগের লক্ষণ ।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- লেবুর শাঁস ফেলে দিয়ে খোসাটা আঙ্গুলে টুপির আকার পরিয়ে দিলে যন্ত্রণার উপশম হয়। তাছাড়া আক্রান্ত আঙ্গুলটি লবণ মিশ্রিত ঈষমুক্ত গরম পানি ডুবিয়ে রাখলে উপকার হয়।
পোড়া ঘা (Burns)
কারণ :- আগুনে পোড়া, গরম তরলে পোড়া, কলকারখানার কাজ করতে উত্তপ্ত ধাতব পদার্থে পুড়ে যাওয়া, অ্যাসিড বা অন্য কেমিক্যাল পদার্থে পুড়ে যাওয়া প্রভৃতি থেকে যা হয়ে যায়।
লক্ষণ :- কখনো ফোস্কা গলে যা হয়, কখনো বা সদ্য চামড়া উঠে স্থান ইনফেক্শন হয়ে যায়, তারপর জ্বর হতে পারে, যা বেড়ে পুঁজ হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- দগ্ধস্থানে হাত দেওয়া বা চেপে ব্যান্ডেজ করা উচিত নয়। হালকাভাবে তা ঢেকে রাখতে হবে। রোগীকে গরম চা, কফি, দুধ খাওয়ানো ভালো। ঘি বা ঘিয়ে ভাজা খাদ্য খাওয়ানো ভালো তাছাড়া অন্যান্য হালকা পুষ্টিকর খাদ্য খেতে দিতে হবে। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। অ্যাসিডে পুড়ে গেলে সোডা জাতীয় দ্রব্য পানিগুলো ঐ স্থানে দিতে হবে। ক্ষারে পুড়ে গেলে লেবুর রস বা ভিনিগার দ্বারা দক্ষ অংশ ধুয়ে ফেলতে হবে। পোড়া ঘা শুকনোর সময় তার টান ধরলে Wokadine sol বা Betadine soln দ্বারা ভেজানো ভালো। যা সেরে ওঠার পরও ঔষধ চালানো উচিত। ঐ স্থানের দাগ মিলিয়ে দেওয়ার জন্য Suntan Cream ব্যবহার করা চলে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন