সৌন্দৰ্য চর্চার শুরুর কথা | About the Beginning of Beauty Practice
আত্মবিশ্বাস
প্রতিনিয়ত আমরা কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে থাকি। যে সমাজে আমরা বড় হয়েছি, চলাফেরা ও কাজকর্ম করছি সে সমাজে এখন অনেক কথা বলা হলেও এখনো সে সমাজ বেশ রক্ষণশীল। বিশেষ করে মেয়েদের আরো বেশি। বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। বর্তমান আধুনিক সময়ে যদিও পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে খুব একটা প্রভেদ নেই তারপরও মেয়েদের ক্ষেত্রে সমাজের যে নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ আছে, তাকে অতিক্রম করা- স
কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসই নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার এক মাত্র আয় সে নারী হোক বা পুরুষ হোক না কেন। আর নারীর বেলায় বলবো, নারী যেন শুধু নারী নয় একজন ব্যক্তি মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন এবং প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই দিকে বিশেষ যত্নবান হতে হবে। আচার-ব্যবহার :
আপনার আচার-ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে আপনার সঙ্গ অন্যের কাছে কতটা আকর্ষণীয় ও আদারনীয় আর এই জ্ঞান আপনি অর্জন করতে পারবেন আপনার পরিবার থেকে। সুতরাং আপনার পরিবারকে হতে হবে এ ব্যাপারে সচেষ্ট। আপনার প্রতি পরিবারের এবং পরিবারের প্রতি আপনার এই দায়িত্ব রয়েছে সমানভাবে । এক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে স্বাভাবিক আত্মমর্যাদাটুকু বজায় রেখে একজনের পক্ষে যতটা বিনয়ী ও নম্র হওয়া সম্ভব সেটুকু স্বভাব অর্জন করা।
ব্যক্তিত্ব
সুন্দর হবার প্রথম শর্ত সুন্দর ও মার্জিত ব্যক্তিত্ব।
এবার আসা যাক চলন বলন ও আচার আচরণের প্রসঙ্গে। আপনি ভাবছেন একজন শিক্ষিত মানুষকে নিশ্চই তার চলন বলন আচার আচরণ সম্পর্কে জ্ঞান দানের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আমরা অনেকেই জ্ঞান থাকা সত্তেও সেই জ্ঞানের প্রয়োগটা যথাসময়ে যথা যথভাবে করে উঠতে পারিনা বা করিনা । এটার মূল কারণ নিজের ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতির অভাব নিজের সচেতনতার অভাব। আপনি যদি নিজ সম্পর্কে সচেতন হয়ে চলেন। আপনার চারপাশে কারা আছেন এক কথায় স্থান, কাল, পাত্র বুঝে চলেন কথা বলেন বা আচার আচরণ একটু সচেতন ও মার্জিতভাবে করেন তবেই আপনার মধ্যে প্রকাশ পাবে বিশেষ এক ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি মানুষ তার আচার, ব্যাবহার ও ব্যক্তিত্বের কারণে আলাদা বিমোচনে ভূষিত হতে পারে। একথার অর্থ এই নয় যে আপনি সব ক্ষত্রেই ভাব গম্ভির হয়ে থাকবেন । স্থান কাল ও পাত্র ভেদে আপনার অভিব্যক্তি আপনি প্রকাশ করতে সচেষ্ট হবেন।
আপনার সুন্দর বাচন ভঙ্গি আপনার ভাবনা ও কথার গম্ভীরতা সহজেই পারে যে কাউকে আকৃষ্ট করতে। সব সময় মনে রাখা উচিত এই জীবন, যৌবন রঙ রূপ সবই ক্ষণস্থায়ী। মানুষ মনে রাখে মানুষের গুণ মানুষ মনে রাখে মানুষের ব্যবহার তার কথা। দিন যায় কথা থাকে। রঙ রূপ দুদিন থাকে নিজেকে গড়ে তুলুন একজন গুণী মানুষরূপে একজন ভদ্র মার্জিত রুচিব ন ভাল মানুষ রূপে। আপনার ভালো বা অসুন্দর রূপের ভাবনা না ভেবে নিজের ভেতরের সৌন্দর্যকে মেলে চলুন। তবেই আপনি হতে পারবেন প্রকৃত সুন্দর একজন মানুষ।
মানব চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুণ হলো ব্যক্তিত্ব। এই ব্যক্তিত্ব একজন অতি সাধারণ নর বা নারীকে অসাধারণ করে তোলার। দৈহিক সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি জীবনের প্রতিক্ষেত্রে সঠিক মতামত প্রকাশ করাও দৃঢ়ভাবে সে মত পোষণ করে চলার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও আরো যে বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখা প্রয়োজন তাহলো ছোটদের সাথে আপনার ব্যবহার হবে যেমন সহজ-সরল তেমনি সমবয়স্কদের কাছে আপনার ব্যবহার হওয়া উচিত হাসি-খুশি, উদার ও খোলামেলা। কিন্তু ব্যঙ্কদের প্রতি শ্রদ্ধা, বিনয়ী ও নম্র ভাব প্রকাশ করতে হবে। আর সমতা হলেই বয়সীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আপনার ব্যক্তিত্বে ফুটিয়ে তুলবে বিশেষ গুণ আপনি সবার কাছে হবেন আদরনীয়।
আপনার চরিত্রের সাথে প্রয়োজন শিষ্টাচার ও আতিথিয়তা, দাঁড়ানো, বসা বা হাঁটাচলা, হাসি ও কথা বলাতে থাকবে অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রতিদিন স্থান কাল পাত্র ভেদে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোথায় কখন কার সাথে কিভাবে কি কথা বলতে হবে কিভাবে চলতে হবে। প্রয়োজনে অনেক কিছু মানিয়ে চলতে হবে আপনাকে। দেখবেন এগুলো আপনার ভেতর তৈরিই ছিল। শুধু প্রকাশে কিছুটা কমতি ছিল। ক্রমাগত অনুশীলন বা চর্চার মাধ্যমে এ বিষয়গুলোই হবে আপনার চরিত্রের অনবদ্য বৈশিষ্ট্য ।
‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো'
ফুল কি শুধুই দেখার? তার সুবাস নেওয়ারা ফুলও কি প্রেমের বার্তা, পিরিতির বন্ধন, প্রাণ তাক করা পর না? যুগে যুগে ফুল যুগান্তর এনেছে অঙ্গভূষণে, সাজসজ্জায়, কেশশোভায়। আর ফুল বলতে কি শুধুই গোলাপ? কেবলই জুঁই? মাত্রই বেশি। নয়ন ভরে চেয়ে দেখুন চুলের নতুন অলঙ্কার গ্লাডিওলাস, ক্রিস্যান্থিমাম, কারনেশন আর আরও কত চেনা-অচেনা ফুল
ফ্রেঞ্চ রোলে, মেরুন গ্লাডিওয়াস
চুল ভাল করে আঁচড়ে, সামনেটা ব্যাক কোম্বিং করে সামান্য ফুলিয়ে নিয়ে কানের পাশে ক্লিপ করে নিন। পুরো চুল এবার এক ধারে নিয়ে এসে উঁচু করে পনিটেল করুন। পনিটেল-এর চুল ভালভাবে ব্যাক কোম্বিং করে ব্রাশ করে নিয়ে এক দার থেকে (ডান দিক) ফোল্ড করে আরেক ধারে (বাঁ দিক) নিয়ে গিয়ে ভিতরের দিক রোল করে কাঁটা দিয়ে আটকান। ফ্রেঞ্চ রোলের ভাঁজে মেরুন গ্ল্যাডিওলাস ফুল কাঁটা দিয়ে লাগিয়ে নিন ।
জাপানিজ রোদে, সাদা ও বেগুনি কারনেশন
চুলের সামনে জিগজ্যাগ সিঁথি করুন টেল কোম্ব দিয়ে। বাকি চুল টেনে ঘাড়ের কাছে পনিটেল করে তা তিন চার ভাগে ভাগ করে নিন। একেক ভাগ চুলের অংশ ঘাড় থেকে কানের পাশ অবধি রোল করে পিন লাগান। ভালভাবে সবগুলো চুলের রোল মিলিয়ে দেবেন যাতে শেষে জাপানিজ রোলের মতো দেখতে লাগে। শেষে এতে কারনেশন ফুল কাঁটা দিয়ে লাগিয়ে নেবেন।
ব্রাইডাল খোঁপার সঙ্গে লাল জাবেরা
চুল ভালভাবে ব্রাশ করে নিন। মাথার সমানের চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে একেক ভাগ চুল পেঁচিয়ে মাথার পিছনে ক্লিপ করে দিন। চুলের বাকি অংশ নিয়ে ঘাড়ের কাছে পনিটেল করে দু ভাগে ভাগ করে একেকটি ভাগ গোল করে ঘুরিয়ে কাঁটা লাগান। খোঁপায় নেট লাগিয়ে জাবেরা ফুল দিয়ে সাজান।
ব্লো ড্রাই করা চুল, সঙ্গে হলুদ লিলি
চুল আঁচড়ে ব্লো ড্রাই করে কানের পাশে হলুদ লিলি আটকে নিন।
ফ্রেঞ্চ ব্রেড, সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি তৈরি লম্বা ব্যান্ড চুল আঁচড়ে নিয়ে মাঝখানে ছোট সিঁথি করবেন। মাথার সামনের দু পাশের কিছু চুলের অংশ নিয়ে সাগর বেণী করে কানের পাশে ক্লিপ দিয়ে আটকাবেন। মাথার পিছনের বাকি অংশের চুল লম্বা বেণী করে গোলাপের পাপড়ির তৈরি লম্বা ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন ।
খোপায় রজনীগন্ধা ও কৃষ্ণকলি
মাথার সামনে থেকে ঘাড় অবধি সাগর চোটি করে রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিন। ঘাড়ের কাছে পনিটেল করে গোল করে ঘুরিয়ে কাঁটা লাগিয়ে নিন। খোঁপাতে নেট লাগিয়ে তার উপরে রজনীগন্ধা ও কৃষ্ণকলি ফুলের তৈরি ব্যান্ড লাগিয়ে নিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন