পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিশুদের ১১ টি রোগের কারণ লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা | 11 Diseases in Children Causes Symptoms and Home Remedies

ছবি
  শিশুরোগ (Diseases of Children) তড়কা (Convulsion) কারণ :- বীজাণু-দূষণ, জ্বরের সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি কারণে শিশুদের এই রোগ হয়। লক্ষণ :- 103F-104°F পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে, স্থিচনি হয়, ছটফট করে চোখ উল্টে যায়, দাঁতকপাটি লেগে যায়। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- তাপমাত্রা বেশি থাকলে মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে এবং গরম পানিতে গামছা ভিজিয়ে গায়ে দিতে হবে। শিশু উদারময় (Infantile Diarrhoea) কারণ :- গুরুপাক দ্রব্য ভোজন, ক্রিমি জনিত, দাঁত ওঠা, ঠাণ্ডা লাগিয়া সর্দি কাশি হইলে, বীজাণুর আক্রমণ হইলে, লিভারের গোলযোগ স্তনদানকারীর ঐ সমস্ত রোগ থাকিলে শিশুদের এই রোগ হয়। লক্ষণ :- হজম হয় না, পেট ফাঁপে, শিশু সবসময় ঘ্যানঘ্যান করে। অসুগন্ধযুক্ত নানাবর্ণ বিশিষ্ট তরল মল নির্গত হয়। বমি হতে পারে কখনো বা দু" একদিন ভালো থেকে থেকে উদারময় হয়। আম থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- সাগু, বারলি দিতে হবে। দিনে একবার ভাত দিতে হবে। দুধ খাওয়া বন্ধ থাকবে। স্তনদুগ্ধ চলবে। বিস্কুট এবং ছানা খাওয়ানো ভালো । lactodex baby food দেওয়া এবং অল্প মাত্রায় ফলের রস দেওয়া যাবে। শিশুদের পেটে যন্ত্রণা (Colic Infantile) কারণ...

8 টি সাধারণ চোখের সমস্যা কারণ লক্ষণ ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসা | Common Eye Diseases

ছবি
চোখের রোগ (Diseases of Eyes)  চোখ ওঠা (Conjunctivitis) কারণ : চোখে ধুলাবালি পড়া, ধোঁয়া লাগা, ভাইরাসের আক্রমণ প্রভৃতি থেকে এই রোগ হয়। লক্ষণ :- জ্বালা করে, চক্ষু ফুলে লেপটে যায়।প্রদাহ, কুট কুট করে, পিঁচুটি পড়ে, শামি করে, আনো রোগ বৃদ্ধি পায়। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- পরিষ্কার পানিতে চোখ ধুয়ে ফেলা উচিত। পরিষ্কার করলে ইনফেকশন হবার ভয় থাকে না। রঙিন চশমা ব্যবহার করলে উপকার হয়। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কর্ণিয়ার ক্ষত (Corneal Ulcer) কারণ : চোখে ফসলের নানা ধাতব পদার্থের সুদ্ধি জন্য চুন বা সাবানের টুকরো প্রকৃতি ঢোকা বা আঘাত লাগা থেকে এই রোগ হয়।  লক্ষণ :- হয়, পানি করে, চোখ খোলা এবং ব য় অবস্থাতেই যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়, চোখের ভিতরের অংশ ঘোলাটে দেখায় ইত্যাদি। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা : যাতে না বেশি বাড় থেকে হবে।পরিষ্কার পানিতে চোখ মুখে ফেলা উচিত, তার পর সে বিষয়ে সাবধান হন।  ঝালা দৃষ্টি (Glaucoma) কারণ : পৌষ্ঠিক তন্ত্রের গোলযোগ, অ্যানিমিয়া, ব্লাডসুগার, গ্রোসার যা চোখের রোগে ভুগতে ভুগতে চোখের ভিট্রিয়াস হিউমার গাঢ় হয়ে যায় লক্ষণ : সময়ে সময়ে একেবারে অন্ধকার, আবার কখনো আলোর...

চর্মরোগের,কারণ,লক্ষণ ও আনুষঙ্গিক চিকিৎসা | Common Skin Disorders

ছবি
  খোস-পাঁচড়া (Scabies) কারণ:- অপরিষ্কার থাকার জন্য বাচ্চাদের এক ধরনের বীজ এই রোগ ঘটায়। লক্ষণ :- মনিবন্ধ, অঙ্গুলী প্রভৃতি স্থানে কোমল চর্মের নিচে বীজাণুর আক্রমণ ঘটে ছোট ছোট উদ্ভেদ সৃষ্টি হয় এবং তা প্রচন্ড চুলকায়। পরে তা গলে গিয়ে পুঁজ হতে শুরু করে। ক্রমশ সারা অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যথা এবং টনটনানি থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- রোগীর ব্যবহৃত পোশাক এবং বিছানাপত্র দৈনিক ভালো করে কাচা উচিত না হলে পুনরায় রোগ আক্রমণ ঘটে। কাঁচা দুধে নিমপাতা সিদ্ধ করিয়া ধৌত করিলে শীঘ্র উপকার হয়। উকুন (Pediculosis) কারণ :- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, উকুন যুক্ত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে উকুনের আক্রমণ ঘটে। লক্ষণ : মাথায় উকুন থাকলে প্রচন্ড মাথা চুলকায়। চুল কটা হয়ে যায়। মাথা আঁচড়ালে ডিম বা উকুন বাহির হয়, অন্যান্য জায়গায় উকুন থাকলে সেস্থল চুলকায় এবং ঘা সৃষ্টি করে দিতে পারে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :- পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার রাখতে হবে রোগীে পৃথকভাবে রাখতে হবে। ভালোভাবে গোসল করা উচিত দাদ (Ringworm) কারণ :- টিনিয়া করপোরিস, টিনিয়া পেডিস, টিনিয়া ক্যাপিটল এবং চিনি কুপ্রিয় প্রকৃতির আক্রমণে চর্মে বা...

ভিটামিনের অভাবে শরীরে যে সব রোগ হতে পারে | Vitamin Deficiency Diseases

ছবি
  জীবন ধারণতা দেহকে সুস্থ-সবল, কার্যক্রম ও দেহ বৃদ্ধির জন্যে যে সব উপাদান প্রয়োজন তাকে খাদ্য বলে। সাধারণত বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থকে আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। প্রত্যেকের দেহ সম্পর্কে যেমন ধারণা থাকা দরকার তেমনি দেহ গঠন শরীরকে কার্যক্ষম রাখতে প্রয়োজনীয় খাদ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। খাদ্য ছাড়া কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দেহের ব্য প্রয়োজন। খাদ্য দেহের চাহিদা পূর্ণ করে। খাদ্যের উপাদান খাদ্যে ৬ প্রকার উপাদান থাকে। যেমন- (১) প্রোটিন (5) কার্বোহাইট্রেড বা শর্করা (৩) স্নেহপদার্থ (৪) ধাতব লবণ বা খনিজ পদার্থ (৫) ভিটামিন (৬) পানি। খাদ্যের কাজ দেহ যন্ত্রকে সচল রাখতে  খাদ্য  যে সব কাজ করে থাকে তা নিচে তুলে ধরা হলো: (১) দেহের গঠন ও বৃদ্ধি সাধন (২) দেহের ক্ষতিপূরণ ও পরিশোষণ  (৩) দেহে তাপ উৎপাদন (৪) শরীরে শক্তি সৃষ্টি করা (৫) পেশী পরিচালনা করা (৬) দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। (৭) আভ্যন্তরীণ কার্যসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে দেহ সুস্থ রাখা। মানবদেহকে সুস্থ-সবল রাখতে খাদ্য গ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। পক্ষান্তরে যে প্রক্রিয়ায়...

জেনে নিন মানবদেহের তথ্য এবং বিভিন্ন অঙ্গসমূহ | Introduction to the Human Body

ছবি
 মানবদেহ মানবদেহ হচ্ছে বিচিত্র ও রহস্যময়। বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত মানবদেহের সম্পূর্ণ রহস্য বের করতে পারেনি। মানবদেহ সম্পর্কে এখনও রয়ে গেছে নেক, অজানা রহস্য। হের মূল নিয়ন্ত্রক। মস্তিষ্কের স্থাপিত, যকৃত, পাকস্থলি, ও অস্থির।  মানবদেহে রয়েছে ২০৬ খানা হাড় ও পাঁচ শতাধিক মাংশপেশী। রয়েছে শিরা, উপশিরা ও ধমনী। মস্তিষ্ক হচ্ছে মানন সাথে যোগসূত্র রয়েছে মেরুদণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, পিত্তথলি, মুত্রাশয়, মলনালী প্রভৃতির পেন হজম বা পরিপাকের জন্যে ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্ত বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন ও ফুসফুসে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রেখে দেহকে সচল রাখে। মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এক একটি বিশেষ কাজে নিয়োজিত । সবগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একজন মানুষ সুস্থ থাকে। মানব বা মানবী দেহ একটি ব্যাপক ব্যাপার। এই আলোচনা করতে গেলে দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। আমরা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। তা যাবার খুব একটা দরকারও নেই। ব্যায়াম যেহেতু মানবদেহ নিয়ে সে জন্যে মানব দেহের কতিপয় অংগ-প্রতঙ্গ নিয়ে খুব ছোট আলোচনা করা মানবদেহের এস্থিগুলোর নাম :   * পিনিয়েল বডি * পি...